গুরু প্রনাম মন্ত্র
ওঁ অজ্ঞানতিমিরান্ধস্য জ্ঞানাঞ্জনশলাকয়া।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
চক্ষুরুন্মীলিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
অজ্ঞতার গভীরতম অন্ধকারে আমার জন্ম হয়েছিল এবং আমার গুরুদেব জ্ঞানের আলোকবর্তিকা দিয়ে আমার চক্ষু উন্মীলিত করেছেন। তাঁকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
অখন্ড মন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তত্পদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
যাঁহার দ্বারা অখন্ড মন্ডলাকার এই চরাচর বিশ্ব পরিব্যাপ্ত রহিয়াছেে, তাঁহার শ্রীপাদপদ্ম যিনি দর্শন করাইয়া দেন,সেই শ্রীগুরুদেবকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।
গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণুঃ গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ।
গুরুরের পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
শ্রীগুরুদেবই ব্রহ্মা, গুরুই বিষ্ণু, গুরুই দেব মহেশ্বর, শ্রীগুরুই পরম ব্রহ্মস্বরূপ। সেই শ্রীগুরুদেবকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।
বন্দেহহং শ্রীগুরোঃ শ্রীযুতপদকমলং শ্রীগুরূন্ বৈষ্ণবাংশ্চ
শ্রীরূপং সাগ্রজাতং সহগনরঘুনাথান্বিতং তং সজীবম্।
সাদ্বৈতং সাবধূতং পরিজনসহিতং কৃষ্ণচৈতন্যদেবং
শ্রীরাধাকৃষ্ণপাদান্ সহগণললিতা শ্রী বিশাখান্বিতাংশ্চ।।
আমি আমার গুরুদেবের পাদপদ্মে ও সমস্ত বৈষ্ণববৃন্দের শ্রীচরণে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীরূপ গোস্বামী, তাঁর অগ্রজ শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীরঘুনাথ দাস, শ্রীরঘুনাথ ভট্ট, শ্রীগোপাল ভট্ট ও শ্রীল জীব গোস্বামীর চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, শ্রীনিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর, শ্রীবাস ও অন্যান্য পার্ষদবৃন্দের পাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীমতি ললিতা ও বিশাখা সহ শ্রীমতি রাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব
ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব
ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিণং ত্বমেব
ত্বমেব সর্ব্বং মম দেবদেব।।
হে গুরুদেব, তুমিই আমার মাতা, তুমিই আমার পিতা, তুমিই আমার বন্ধু, তুমিই আমার সখা। তুমিই আমার বিদ্যাবুদ্ধি, তুমিই আমার ধনৈশ্বর্য্য সবই। হে আমার প্রাণদেবতা , তুমিই আমার জীবনের যথাসর্বস্ব।।
ধ্যানমূলং গুরোমূর্ত্তিঃ পূজামূলং গুরোঃ পদম।
মন্ত্রমূলং গুরোর্বাক্যং মোক্ষমূলং গুরোঃ কৃপা।।
শ্রীগুরুমূর্ত্তিই সর্ব্বদা ধ্যান করা কর্তব্য, শ্রীগুরুদেবের শ্রীপাদপদ্মই সর্বদা পূজা করা উচিত, শ্রীগুরুদেবের বাক্যই মন্ত্র স্বরূপ এবং শ্রীগুরুকৃপাই মোক্ষ লাভের একমাত্র উপায়।
মন্ত্রঃ সত্যং পূজা সত্যং সত্যং দেবো নিরঞ্জনঃ
গুরোর্বাক্যং সদা সত্যং সত্যমেব পরং পদম্।।
মন্ত্র সত্য, পূজা সত্য, দেব নিরঞ্জনও সত্য; শ্রীগুরুদেবের বাক্যও সর্বদা সত্য বলিয়া জানিবে এবং তাঁর পরমপদও সত্য।।
ব্রহ্মানন্দং পরম সুখদং কেবলং জ্ঞানমূর্ত্তিম্
দ্বন্দ্বাতীতং গগন সদৃশং তত্ত্বমস্যাদি লক্ষ্যম্।
একং নিত্যং বিমলমচলং সর্ব্বদা সাক্ষিভূতম্
ভাবাতীতং ত্রিগুন রহিতং সদগুরুং তং নমামি।।
যিনি ব্রহ্মনন্দ স্বরূপ,পরম সুখদানকারী, জ্ঞান মূর্ত্তি স্বরূপ, যিনি সুখদুঃখাদি দ্বন্দ্বের অতীত, গগনসদৃশ উদার,'তত্ত্বমসি' প্রভৃতি মহাবাক্যের লক্ষ্য স্বরূপ, যিনি এক, নিত্য, বিমল, অচল, সর্বদা সমস্ত কিছুর সাক্ষীস্বরূপ, ভাবাতীত, ত্রিগুনাতীত, সেই পরমব্রহ্মরূপী সদ্গুরুকে আমি প্রণাম করি।।
পিতৃমাতৃ সুহ্নদ্বন্ধু বিদ্যা তীর্থানি দেবতা
ন তুল্যং গুরুণা শীঘ্রং স্পর্শয়েৎ পরমং পদম্।।
এই জগতে পিতামাতা, সুহ্নৎ-বন্ধু, বিদ্যাবুদ্ধি, তীর্থসমূহ এবং দেবদেবী কেউই গুরুদেবের সম্যতুল্য হইতে পারে না, যেহেতু শ্রীগুরুদেবই একমাত্র সেই পরমব্রহ্মপদ শীঘ্রই লাভ করাইয়া দিতে পারেন।।
অখন্ড মন্ডলাকারং ব্যাপ্তং যেন চরাচরম।
তত্পদং দর্শিতং যেন তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
যাঁহার দ্বারা অখন্ড মন্ডলাকার এই চরাচর বিশ্ব পরিব্যাপ্ত রহিয়াছেে, তাঁহার শ্রীপাদপদ্ম যিনি দর্শন করাইয়া দেন,সেই শ্রীগুরুদেবকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।
গুরুর্ব্রহ্মা গুরুর্বিষ্ণুঃ গুরুর্দেবো মহেশ্বরঃ।
গুরুরের পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।
শ্রীগুরুদেবই ব্রহ্মা, গুরুই বিষ্ণু, গুরুই দেব মহেশ্বর, শ্রীগুরুই পরম ব্রহ্মস্বরূপ। সেই শ্রীগুরুদেবকে পুনঃ পুনঃ প্রণাম করি।
বন্দেহহং শ্রীগুরোঃ শ্রীযুতপদকমলং শ্রীগুরূন্ বৈষ্ণবাংশ্চ
শ্রীরূপং সাগ্রজাতং সহগনরঘুনাথান্বিতং তং সজীবম্।
সাদ্বৈতং সাবধূতং পরিজনসহিতং কৃষ্ণচৈতন্যদেবং
শ্রীরাধাকৃষ্ণপাদান্ সহগণললিতা শ্রী বিশাখান্বিতাংশ্চ।।
আমি আমার গুরুদেবের পাদপদ্মে ও সমস্ত বৈষ্ণববৃন্দের শ্রীচরণে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীরূপ গোস্বামী, তাঁর অগ্রজ শ্রীসনাতন গোস্বামী, শ্রীরঘুনাথ দাস, শ্রীরঘুনাথ ভট্ট, শ্রীগোপাল ভট্ট ও শ্রীল জীব গোস্বামীর চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য, শ্রীনিত্যানন্দ, শ্রীঅদ্বৈত আচার্য, শ্রীগদাধর, শ্রীবাস ও অন্যান্য পার্ষদবৃন্দের পাদপদ্মে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আমি শ্রীমতি ললিতা ও বিশাখা সহ শ্রীমতি রাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি।
ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব
ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব
ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিণং ত্বমেব
ত্বমেব সর্ব্বং মম দেবদেব।।
হে গুরুদেব, তুমিই আমার মাতা, তুমিই আমার পিতা, তুমিই আমার বন্ধু, তুমিই আমার সখা। তুমিই আমার বিদ্যাবুদ্ধি, তুমিই আমার ধনৈশ্বর্য্য সবই। হে আমার প্রাণদেবতা , তুমিই আমার জীবনের যথাসর্বস্ব।।
ধ্যানমূলং গুরোমূর্ত্তিঃ পূজামূলং গুরোঃ পদম।
মন্ত্রমূলং গুরোর্বাক্যং মোক্ষমূলং গুরোঃ কৃপা।।
শ্রীগুরুমূর্ত্তিই সর্ব্বদা ধ্যান করা কর্তব্য, শ্রীগুরুদেবের শ্রীপাদপদ্মই সর্বদা পূজা করা উচিত, শ্রীগুরুদেবের বাক্যই মন্ত্র স্বরূপ এবং শ্রীগুরুকৃপাই মোক্ষ লাভের একমাত্র উপায়।
মন্ত্রঃ সত্যং পূজা সত্যং সত্যং দেবো নিরঞ্জনঃ
গুরোর্বাক্যং সদা সত্যং সত্যমেব পরং পদম্।।
মন্ত্র সত্য, পূজা সত্য, দেব নিরঞ্জনও সত্য; শ্রীগুরুদেবের বাক্যও সর্বদা সত্য বলিয়া জানিবে এবং তাঁর পরমপদও সত্য।।
ব্রহ্মানন্দং পরম সুখদং কেবলং জ্ঞানমূর্ত্তিম্
দ্বন্দ্বাতীতং গগন সদৃশং তত্ত্বমস্যাদি লক্ষ্যম্।
একং নিত্যং বিমলমচলং সর্ব্বদা সাক্ষিভূতম্
ভাবাতীতং ত্রিগুন রহিতং সদগুরুং তং নমামি।।
যিনি ব্রহ্মনন্দ স্বরূপ,পরম সুখদানকারী, জ্ঞান মূর্ত্তি স্বরূপ, যিনি সুখদুঃখাদি দ্বন্দ্বের অতীত, গগনসদৃশ উদার,'তত্ত্বমসি' প্রভৃতি মহাবাক্যের লক্ষ্য স্বরূপ, যিনি এক, নিত্য, বিমল, অচল, সর্বদা সমস্ত কিছুর সাক্ষীস্বরূপ, ভাবাতীত, ত্রিগুনাতীত, সেই পরমব্রহ্মরূপী সদ্গুরুকে আমি প্রণাম করি।।
পিতৃমাতৃ সুহ্নদ্বন্ধু বিদ্যা তীর্থানি দেবতা
ন তুল্যং গুরুণা শীঘ্রং স্পর্শয়েৎ পরমং পদম্।।
এই জগতে পিতামাতা, সুহ্নৎ-বন্ধু, বিদ্যাবুদ্ধি, তীর্থসমূহ এবং দেবদেবী কেউই গুরুদেবের সম্যতুল্য হইতে পারে না, যেহেতু শ্রীগুরুদেবই একমাত্র সেই পরমব্রহ্মপদ শীঘ্রই লাভ করাইয়া দিতে পারেন।।

0 মন্তব্যসমূহ
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।